রহস্যময় ইলিমুনিতির অজানা ইতিহাস|যারা গোপনে এই পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে। Illuminati |Islamic Knowladge
রহস্যময় ইলিমুনিতির অজানা ইতিহাস|যারা গোপনে এই পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে। Illuminati |Islamic Knowladge
ধর্মকে কেন্দ্র করে পৃথিবী, নাকি পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ধর্ম। এ নিয়ে নানা মতবাদ জন্ম দিয়েছে হাজারো অজানা রহস্যের।
প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ধর্মকে নিজের মত করে উপস্থাপন ও ব্যবহার করার জন্য গোপনে গড়েছে নানা সংগঠন।
এই সংঘগুলো যতটা গুপ্ত, ততটাই রহস্যে ঘেরা। এর শেকড় বা লতাপাতা এ রহস্যের চোরাবালির কতটা গভীরে এর অস্তিস্ব তা সাধারণ মানুষের চিন্তারও বাইরে।
রহস্যময় পৃথিবীর গহীন বুকে চাদরে মোড়ানো হাজারো সত্য আমাদের কাছে অজানা।
কৌতুহলী মন যাদের রহস্য নিয়ে খেলতে চায়, চায় আদ্যোপান্ত জানতে। ধর্মের অপব্যাখ্যা করে ও হাতিয়ার করে যেসব সংঘ গড়ে ওঠে, তার মধ্যে অন্যতম ইলুমিনাতি।
প্রাচীনকাল থেকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পৃথিবীবাসির কাছে ইলুমিনাতি শব্দটি পরিচিত।
সাধারণভাবে বলতে গেলে ইলুমিনাতি শব্দের অর্থ হলো আলোকিত জগত। মূলত এই আলোকিত জগতের নাড়ি-নক্ষত্র কতটা অন্ধকারচ্ছন্ন ও ভয়াবহ তা ইলুমিনাতির তথ্যের ভাজে ভাজে রহস্য জট খোলার প্রয়াস থাকবে।
ইলুমিনাতির মূল ধারণার প্রবর্তক হলেন এডাম ওয়েশপ্ট। তিনি ছিলেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী।
অনেকে ধারণা করেন, ষোল শতাব্দীর অনেক আগে থেকেই ইলুমিনাতির জন্ম। ইলুমিনাতি এমন একটি গোপন সংঘ, যার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের মতবাদের বেড়াজালে না জড়িয়ে ধর্মের নিজস্ব এক অস্তিস্ব তৈরি করা। এছাড়া তাদের মতবাদ অনুযায়ী পৃথিবীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এনে শাসন করা। ইলুমিনাতির লক্ষ্য হলো ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে লাগামটানা।
আর ইলুমিনাতির শেকড় এতটাই মজবুত ছিল যে, এর মূল কাঠামো ছিল সমাজের ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী মানুষরা।
মূলত ওই সময়ে সমাজের রীতিনীতি নির্ধারিত হতো চার্চের মাধ্যমে, যা সবার পছন্দ ছিল না।
যারা চার্জ কর্তৃক আইন মানতে রাজি না, তাদের নিয়েই এডাম ওয়েশপ্ট গোপন সংঘ ইলুমিনাতি সৃষ্ঠি করেন।
নিজে খ্রীস্ট ধর্মের অনুসারি হলেও তিনি চার্চগুলোর গোড়ামির বিরুদ্ধে গোপনে প্রতিবাদ করে সমাজকে আলোকিত করার চেষ্টায় ১৭৭৬ সালের ১ মে তার চারজন ছাত্রকে নিয়ে এর যাত্রা শুরু করেন।
এই ইলুমিনাতির নাম ছিল আউল অব মিনারভা বা আউল অফ এথিরা। আর মিনারভা হলো গ্রীক মিথলজীদের জ্ঞানের দেবী।
কিন্তু পরর্বতীতে ১৭৭৮ মিনারভা থেকে নাম পরির্বতন করে নাম রাখা হয় ইলুমিনাতি বা আলোকিত জগত।
ইলুমিনাতি গঠনের পেছনে ফিমেশনের অনেক প্রভাব ছিল। ফিমেশন হলো মধ্যযুগের গুপ্ত সংঘঠন। ফিমেশনেরা হলো অপদেবতার অনুসারি।
ফিমেশনের অনেক প্রতীক ইলুমিনাতিরা ব্যবহার করে থাকে। যেমন এক চোখ বিশিষ্ঠ পিরামিড, জ্বলন্ত অগ্নিশিখা।
অবাক করার বিষয় হলো আমেরিকানরা প্রকাশ্যে ইলুমিনাতির প্রতীক ব্যবহার করছে। যা তাদের পাসপোর্ট ও ডলারের মধ্যে ব্যবহার করা হতো।
ইলুমিনাতির উদ্দেশ্য ছিল, ধর্মীয় নিয়মনীতির বাইরে নিজেদের তৈরি মতবাদ দিয়ে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করা।
যেমন, অবাধ যৌনাচার, সমকামিতা, গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এই সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করা। সাধারণত আমরা জানি সবরকম নিষিদ্ধ কাজ হলো শয়তানের। আর ইলুমিনাতিরা হলো শয়তানের পূজারী।
এক চক্ষুবিশিষ্ট দাজ্জাল হলো ইলুমিনাতির অপদেবতা। আর এই দাজ্জাল হলো রবকে অমান্যকারী শয়তান।
ইলুমিনাতির প্রভাব সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেছে বলা যায়। তারা সরাসরি মানুষকে নিয়ন্ত্রণ না করলেও তাদের মতবাদ-চিন্তাধারা মানব জাতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। যেমন পোশাক, খাদ্যভাস, চিন্তাচেতনা ও জীবনযাত্রার মানের পরির্বতন।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইলুমিনাতির চিহ্ন এবং এর মূল মন্ত্র বহন করছে অনেক মিডিয়া, বিখ্যাত শিল্পী, মডেল, প্রভাবশালী নায়ক-নায়িকা ও কলাকুশলীরা।
আর আমরা অনেকেই জানিনা যে ইলুমিনাতির চিহ্ন বহন করা শুধু মাত্র ফ্যাশন না, মনের অজান্তেই শয়তানের আনুগ্যত করা।
No comments